সর্বশেষ

সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ :


/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা /

২৪খবর বিডি: 'আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের তারিখ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের মধ্যে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।'

-এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই সফর হওয়া নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

* উল্লেখ্য গত এপ্রিলে জয়শংকর ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রন জানান।

-তিস্তা

'তিস্তা ও ছয় নদীর পানি বন্টন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ও জয়শংকরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি সই এর বিষয়টি আমরা উত্থাপন করলে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় এ বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে ওই চুক্তি সই হবে।'

-অন্য ছয়টি নদীর পানি বন্টন বিষয়ে তিনি বলেন, ওই নদীগুলোর তথ্য-উপাত্ত উভয়দেশ একে অপরকে হস্তান্তর করেছে। এখন সেটি সমন্বয় করতে হবে। এজন্য যৌথ নদী কমিশনকে আরও জোরদার ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

'দুই দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রীদের বৈঠক বা জেআরসি করার বিষয়ে বাংলাদেশ তাগাদা দিয়েছে এবং আগামী সেপ্টেম্বরের আগে ওই বৈঠকের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।'

সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, রহিমপুর খাল নির্মাণ এবং কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় এবং আশা করা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা হবে।

-রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প

'বাংলাদেশ ও ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপালের প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় শেষ এবং আশা করা হচ্ছে এটি জুলাইতে উৎপাদন শুরু করবে।'

-এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি সহযোগীতার অধীনে রামপাল কেন্দ্রের ৬২৫ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় শেষের পথে। এটি জুলাইতে শুরু করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে অধিক বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

'জল বিদ্যুৎ সহযোগিতা নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মেকানিজম বা কাঠামো তৈরি করা দরকার কারণ এখানে নেপাল ও ভূটানও অংশীদার।'

তিনি বলেন, 'এখানে অবস্থিত চারটি দেশকে সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়ে একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে যেখানে একটি বিদ্যুৎ কানেক্টিভিটি তৈরি করা সম্ভব হয়।'

 

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত